বিজেপিকে চ‍্যালেঞ্জ জানিয়ে শহরে মহামিছিল করলো তৃণমূল : গরহাজির বেশ কিছু নেতা

10th January 2021 6:44 pm বর্ধমান
বিজেপিকে চ‍্যালেঞ্জ জানিয়ে শহরে মহামিছিল করলো তৃণমূল : গরহাজির বেশ কিছু নেতা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : বিজেপিকে চ‍্যালেঞ্জ জানিয়ে বর্ধমান শহরে পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূলের ডাকে মহামিছিল । বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র টাউন হল চত্ত্বর থেকে গোলাপবাগ মোড় অবধি মিছিলে পা মেলালেন হাজার হাজার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা । কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে এই মিছিলের আহ্বান থাকলেও তা ছিল কার্যত শক্তি প্রদর্শন । গতকাল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা র‍্যালি করেছেন বর্ধমান শহরে । তৃণমূলের অভিযোগ ছিল বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে র‍্যালি করেছে বিজেপি । ভিন জেলা থেকে লোক ভাড়া করে আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ । তার ই পাল্টা শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলার যুব তৃণমূলের কর্মীরাই তাকে ছাপিয়ে যাবে বলে চ‍্যালেঞ্জ করেছিলেন শাসক শিবির । যদিও এদিন বিজেপি শিবির কটাক্ষ করেছে , তাদের র‍্যালিতে যা জনসমাগম হয়েছিল তা মানুষ দেখেছে । আজ তৃণমূলের গুটিকয়েক লোক নিয়ে র‍্যালি ও মানুষ দেখলো বলে বিজেপির দাবী । মিছিলে ছিলেন রাজ‍্য যুব তৃণমূলের নেতা তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী । এছাড়াও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ , প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা , জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি রাসবিহারী হালদার , জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া , সহ সভাধিপতি দেবু টুডু সহ অনান‍্য রা উপস্থিত ছিলেন এই মিছিলে । কিন্তু উল্লেখযোগ‍্যভাবে গরহাজির বর্ধমান শহরের পরিচিত তৃণমূল নেতা খোকন দাস । এমনকি তার " লবি " বলে যারা পরিচিত তাদের কাউকেই মিছিলে দেখা যায় নি । গরহাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি এর জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদ , প্রাক্তন কাউন্সিলর সাহাবুদ্দিন খান সহ আরো একাধিক নেতা । কেন অনুপস্থিত ? তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন তৃণমূলের ই একাংশ । গোষ্ঠীকোন্দল এর জেরেই হয়তো এই অবস্থান বলছেন কেউ কেউ । বিশেষ সুত্রে জানা গেছে , আগামী ১২ ই জানুয়ারী খোকন দাস মিছিল এর আয়োজন করছেন । সেই মিছিলে কারা কারা থাকেন সেটা নিয়ে কৌতুহল । তবে গতকাল বিজেপির র‍্যালিকে চ‍্যালেঞ্জ জানিয়ে আজকের মিছিলে একাংশ শহরের নেতার গরহাজির নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।